Type | Variant | ||||
---|---|---|---|---|---|
1.3.1 10301 APK | |||||
Size: 2.12 MB Certificate: fda09c743853914713e06f3149fe0db70fd86355 SHA1 signature: 3f15fbb723cb7ca6dcb6d0a85fe21c88f12c0251 Architecture: universal Screen DPI: mdpi (160dpi), hdpi (240dpi), xhdpi (320dpi), xxxhdpi (640dpi) Device: phone |
Download সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর জীবন বৃত্তান্ত APK free
March 13, 1949 was born. His father Fazlul Quader Chowdhury
সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী
সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ১৩ মার্চ ১৯৪৯ ২২ নভেম্বর ২০১৫ ; যিনি সাকা চৌধুরী নামেও পরিচিত; ছিলেন একজন বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ এবং জাতীয় সংসদের চট্টগ্রাম ২ আসন থেকে ছয় বার নির্বাচিত সংসদ সদস্য। মৃত্যু পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য ২০১৫ সালের ২২ নভেম্বর বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের দণ্ডাদেশ অনুযায়ী তার ফাঁসি কার্যকর হয়। তাকে দোষী সাব্যস্ত করায় ট্রাইব্যুনালের বিচার সংক্রান্ত বিষয়ে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক উৎস থেকে বিভিন্ন প্রশ্ন উত্থাপিত হয়েছিল। ২০১৩ সালের ১ অক্টোবর যুদ্ধের সময় নির্যাতন, হত্যা ও গণহত্যার জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক তাকে মৃত্যুদণ্ড প্রদান করা হয়। উচ্চআদালত ২০১৫ সালের ১৮ নভেম্বর তার রায়ের পর্যালোচনার আবেদন প্রত্যাখ্যান করে। জেল কর্মকর্তাদের মতে, সালাউদ্দিন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির কাছে কৃপাভিক্ষাপত্রের আবেদন জানায়, কিন্তু তার আবেদন প্রত্যাখ্যাত হয়েছিল।অবশ্য তার পরিবারের সদস্যদের মতে,মৃত্যুদণ্ড থেকে রেহাই পেতে তিনি রাষ্ট্রপতির কাছে কোনো আবেদন করেননি ।
প্রাথমিক জীবন
সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী চট্টগ্রামের রাউজানে ১৩ মার্চ, ১৯৪৯ সালে জন্মগ্রহন করেন। তার পিতার নাম ফজলুল কাদের চৌধুরী যিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতার পূর্ববর্তী সময়ে পাকিস্তানের জাতীয় সংসদের একজন স্পিকার ছিলেন এবং কয়েক দফায় পাকিস্তানের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেন। তার দুই ভাই গিয়াসউদ্দিন কাদের চৌধুরী এবং সাইফুদ্দিন কাদের চৌধুরী। সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর স্ত্রী ফারহাত কাদের চৌধুরী। তার দুই ছেলে হুম্মাম কাদের চৌধুরী ও ফজলুল কাদের চৌধুরী এবং এক মেয়ে ফারজিন কাদের চৌধুরী।
শিক্ষাজীবন
সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর প্রাথমিক শিক্ষা শুরু হয় পাকিস্থানের সাদিক পাবলিক স্কুলে। পরবর্তীতে সেখান থেকে ফিরিয়ে এনে চট্টগ্রামের সেন্ট প্লাসিড স্কুলে ভর্তি করানো হয়, সেখান থেকেই মাধ্যমিক পাশ করেন। এরপর ঢাকার নটরডেম কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় পাশ করেন। এরপর পাকিস্থানের পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয় phd degre থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে সম্মান ডিগ্রি অর্জন করেন।। যদিও আদালত যুদ্ধাপরাধের বিচার চলাকালীন তার সার্টিফিকেটকে ভূয়া বলে ঘোষণা করেন।
রাজনৈতিক জীবন
চৌধুরী বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের সাংসদ ছিলেন। ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত তিনি প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার সংসদ সম্পর্কিত কমিটির উপদেষ্টা ছিলেন। সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ১৯৭৯, ১৯৮৬, ১৯৮৮, ১৯৯১, ১৯৯৬, ২০০১ ও ২০০৮ সালের নির্বাচনে সাত মেয়াদের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৯৬, ২০০১ ও ২০০৮ সালে নির্বাচনী অঞ্চল রাউজান থেকে পূণঃনির্বাচিত হন।
মানবতাবিরোধী অপরাধ
২০১০ সালের ১৬ই ডিসেম্বর থেকে তিনি কারাগারে রয়েছেন। প্রাথমিকভাবে তাকে বিএনপির ডাকা হরতালে গাড়ি ও এর মালিককে পোড়ানোর মামলায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পরবর্তিতে তাকে যুদ্ধাপরাধের মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়। ২০১২ সালের ৪ঠা এপ্রিল বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর বিরুদ্ধে ১৯৭১ সালে মানবতাবিরোধী অপরাধের ২৩টি অভিযোগ গঠন করে। তার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক আনীত অভিযোগগুলোর মধ্যে কিছু হলঃ ১৯৭১ সালের ৪ ৫ই এপ্রিল সংখ্যাগরিষ্ঠ হিন্দু সম্প্রদায়ের ৭ জনকে অপহরণ ও এর মধ্যে ৬ জনকে হত্যা করেন। ১৯৭১ সালের ১৩ই এপ্রিল রাউজানের মধ্য গহিরা হিন্দু পাড়ায় পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সাথে গণহত্যা ১৯৭১ সালের ১৩ই এপ্রিল কুন্দেশ্বরী ওষুধালয়ের মালিক নতুন চন্দ্র সিংহাকে হত্যা। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সাথে মিলে ৩২ জনকে হত্যা, বাড়িতে আগুন দেওয়া ও ধর্ষণের অভিযোগ ১৪ই এপ্রিল সতিশ চন্দ্র পালিত হত্যা, তার বাড়িতে আগুন ও পরিবারের সদস্যদের ধর্মান্তরে বাধ্য করা।
দন্ড
১লা অক্টোবর ২০১৩ তারিখ, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল চৌধুরীকে ২৩টি মামলার মাঝে হত্যা, নির্যাতন, গণহত্যা ইত্যাদির মোট নয়টি মামলায় দোষী প্রমানিত হওয়ায় ফাঁসির আদেশ প্রদান করে। তার রাজনৈতিক দল বিএনপি অভিযোগ করে যে, এই বিচার রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত। ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিরুদ্ধে তার পক্ষ থেকে আপিল করা হলে আপিলের রায়ে ২০১৫ সালের ১৮ই নভেম্বর একটি অভিযোগ থেকে মুক্তি দেয়া হলেও অন্য অপরাধের জন্য ফাঁসির সাজা বহাল থাকে। ২১শে নভেম্বর সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীও অপর দন্ডপ্রাপ্ত যুদ্ধাপরাধী আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদ কারাকর্তৃপক্ষের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদের নিকট প্রাণভিক্ষার জন্য আবেদন করেন কিন্তু রাষ্ট্রপতি দুজনের আবেদনই নাকচ করে দেন। ২২ নভেম্বর ২০১৫ সালে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে রাত ১২টা ৪৫ মিনিটে তাদের দু জনকে একই সাথে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা হয়।
সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ১৩ মার্চ ১৯৪৯ ২২ নভেম্বর ২০১৫ ; যিনি সাকা চৌধুরী নামেও পরিচিত; ছিলেন একজন বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ এবং জাতীয় সংসদের চট্টগ্রাম ২ আসন থেকে ছয় বার নির্বাচিত সংসদ সদস্য। মৃত্যু পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য ২০১৫ সালের ২২ নভেম্বর বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের দণ্ডাদেশ অনুযায়ী তার ফাঁসি কার্যকর হয়। তাকে দোষী সাব্যস্ত করায় ট্রাইব্যুনালের বিচার সংক্রান্ত বিষয়ে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক উৎস থেকে বিভিন্ন প্রশ্ন উত্থাপিত হয়েছিল। ২০১৩ সালের ১ অক্টোবর যুদ্ধের সময় নির্যাতন, হত্যা ও গণহত্যার জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক তাকে মৃত্যুদণ্ড প্রদান করা হয়। উচ্চআদালত ২০১৫ সালের ১৮ নভেম্বর তার রায়ের পর্যালোচনার আবেদন প্রত্যাখ্যান করে। জেল কর্মকর্তাদের মতে, সালাউদ্দিন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির কাছে কৃপাভিক্ষাপত্রের আবেদন জানায়, কিন্তু তার আবেদন প্রত্যাখ্যাত হয়েছিল।অবশ্য তার পরিবারের সদস্যদের মতে,মৃত্যুদণ্ড থেকে রেহাই পেতে তিনি রাষ্ট্রপতির কাছে কোনো আবেদন করেননি ।
প্রাথমিক জীবন
সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী চট্টগ্রামের রাউজানে ১৩ মার্চ, ১৯৪৯ সালে জন্মগ্রহন করেন। তার পিতার নাম ফজলুল কাদের চৌধুরী যিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতার পূর্ববর্তী সময়ে পাকিস্তানের জাতীয় সংসদের একজন স্পিকার ছিলেন এবং কয়েক দফায় পাকিস্তানের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেন। তার দুই ভাই গিয়াসউদ্দিন কাদের চৌধুরী এবং সাইফুদ্দিন কাদের চৌধুরী। সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর স্ত্রী ফারহাত কাদের চৌধুরী। তার দুই ছেলে হুম্মাম কাদের চৌধুরী ও ফজলুল কাদের চৌধুরী এবং এক মেয়ে ফারজিন কাদের চৌধুরী।
শিক্ষাজীবন
সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর প্রাথমিক শিক্ষা শুরু হয় পাকিস্থানের সাদিক পাবলিক স্কুলে। পরবর্তীতে সেখান থেকে ফিরিয়ে এনে চট্টগ্রামের সেন্ট প্লাসিড স্কুলে ভর্তি করানো হয়, সেখান থেকেই মাধ্যমিক পাশ করেন। এরপর ঢাকার নটরডেম কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় পাশ করেন। এরপর পাকিস্থানের পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয় phd degre থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে সম্মান ডিগ্রি অর্জন করেন।। যদিও আদালত যুদ্ধাপরাধের বিচার চলাকালীন তার সার্টিফিকেটকে ভূয়া বলে ঘোষণা করেন।
রাজনৈতিক জীবন
চৌধুরী বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের সাংসদ ছিলেন। ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত তিনি প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার সংসদ সম্পর্কিত কমিটির উপদেষ্টা ছিলেন। সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ১৯৭৯, ১৯৮৬, ১৯৮৮, ১৯৯১, ১৯৯৬, ২০০১ ও ২০০৮ সালের নির্বাচনে সাত মেয়াদের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৯৬, ২০০১ ও ২০০৮ সালে নির্বাচনী অঞ্চল রাউজান থেকে পূণঃনির্বাচিত হন।
মানবতাবিরোধী অপরাধ
২০১০ সালের ১৬ই ডিসেম্বর থেকে তিনি কারাগারে রয়েছেন। প্রাথমিকভাবে তাকে বিএনপির ডাকা হরতালে গাড়ি ও এর মালিককে পোড়ানোর মামলায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পরবর্তিতে তাকে যুদ্ধাপরাধের মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়। ২০১২ সালের ৪ঠা এপ্রিল বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর বিরুদ্ধে ১৯৭১ সালে মানবতাবিরোধী অপরাধের ২৩টি অভিযোগ গঠন করে। তার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক আনীত অভিযোগগুলোর মধ্যে কিছু হলঃ ১৯৭১ সালের ৪ ৫ই এপ্রিল সংখ্যাগরিষ্ঠ হিন্দু সম্প্রদায়ের ৭ জনকে অপহরণ ও এর মধ্যে ৬ জনকে হত্যা করেন। ১৯৭১ সালের ১৩ই এপ্রিল রাউজানের মধ্য গহিরা হিন্দু পাড়ায় পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সাথে গণহত্যা ১৯৭১ সালের ১৩ই এপ্রিল কুন্দেশ্বরী ওষুধালয়ের মালিক নতুন চন্দ্র সিংহাকে হত্যা। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সাথে মিলে ৩২ জনকে হত্যা, বাড়িতে আগুন দেওয়া ও ধর্ষণের অভিযোগ ১৪ই এপ্রিল সতিশ চন্দ্র পালিত হত্যা, তার বাড়িতে আগুন ও পরিবারের সদস্যদের ধর্মান্তরে বাধ্য করা।
দন্ড
১লা অক্টোবর ২০১৩ তারিখ, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল চৌধুরীকে ২৩টি মামলার মাঝে হত্যা, নির্যাতন, গণহত্যা ইত্যাদির মোট নয়টি মামলায় দোষী প্রমানিত হওয়ায় ফাঁসির আদেশ প্রদান করে। তার রাজনৈতিক দল বিএনপি অভিযোগ করে যে, এই বিচার রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত। ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিরুদ্ধে তার পক্ষ থেকে আপিল করা হলে আপিলের রায়ে ২০১৫ সালের ১৮ই নভেম্বর একটি অভিযোগ থেকে মুক্তি দেয়া হলেও অন্য অপরাধের জন্য ফাঁসির সাজা বহাল থাকে। ২১শে নভেম্বর সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীও অপর দন্ডপ্রাপ্ত যুদ্ধাপরাধী আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদ কারাকর্তৃপক্ষের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদের নিকট প্রাণভিক্ষার জন্য আবেদন করেন কিন্তু রাষ্ট্রপতি দুজনের আবেদনই নাকচ করে দেন। ২২ নভেম্বর ২০১৫ সালে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে রাত ১২টা ৪৫ মিনিটে তাদের দু জনকে একই সাথে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা হয়।
Show more
What´s new
- Fixed some bugs
More info
Updated in
2021-08-18
Size
2.12 MB
Current version
1.3.1
Requires Android
4.4 and up
Content Rating
Everyone
Offered By
neoapps
Developer [email protected]